হাফিজুর রহমান আকাশ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইউরিয়া সারের সংকটে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। এর আগেও কৃষকরা চাহিদা মতো সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে অনেকের অভিযোগ অনেক দোকানে সার থাকলেও বেশি দামে বিক্রয় করার আসায় এখন বিক্রয় করছে না। ফলে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন ধানের বীজ রোপন সবেমাত্র শেষ করেছেন। কৃষি অফিস বলছে ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। আর কৃষকরা বলছে বর্তমান আবহাওয়া জমিতে সার ছিটানোর উপযোগী সময়। সরেজমিনে দেখা গেছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষকরা আলীপুর বাজারে সার কিনতে এসে পাচ্ছে না। অনেক কৃষকই নগদ টাকায় ৪০ হাজার টাকা দরে চার কুড়া জমি রেখেছেন অনেকে আবার রেখেছেন ৪০মন ধানে যদি জমিতে সার দিতে না পারে তাহলে লোকসান গুনতে হবে হাজার হাজার টাকা। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। জমিতে সার ছিটানোর উপযোগী সময় সার না পেলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকরা। লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ার আমখোলা গ্রামের কৃষক নেছার উদ্দিন আলীপুর বাজারে এসে সার কিনতে পারে নি। তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটি দোকানে গিয়েছি। কিন্তু সার পাইনি। আমার জমিতে এখন সার না দিলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। তার কথার সূত্র ধরে সারের দোকানে গিয়ে জানা গেছে, আলীপুর বাজারের কোন দোকানে সার নেই। দুই এক বস্তা সার আছে খুচরা বিক্রয় করার জন্য। তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সকল দোকানদার সার বিক্রয় করছেন এ কথ সত্য। তাদের দাবি সরকার প্রতি বস্তা সারের মূল্য ৮’শ টাকা নির্ধারণ করলেও ৮’শ ত্রিশ টাকায় দোকানে সার পৌঁছে। তারা ৮’শ সত্তর টাকা সার বিক্রয় করেন। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সার আসবে বলে শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে সারের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে।