বরিশাল বিভাগে একদিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় দুজন ও উপসর্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়। একইসময়ে নতুন করে জেলার ১৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ১১ জন ও বরগুনায় একজনের মারা গেছেন।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১১ জন মারা গেছেন। এদেরমধ্যে করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল ৩০০ জন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১১২ জন।
তিনি আরও জানান, মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শনাক্তের হার ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশালে বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাশ জানান, বিভাগের ছয় জেলায় ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল জেলায়। এ জেলায় ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৭৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ভোলায় ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৪১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এদিকে ঝালকাঠীতে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পিরোজপুরে ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
এছাড়া পটুয়াখালীতে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। বরগুনায় সাতজনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।