ঈদ উপলক্ষে আট দিন শিথিলের পর শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে আবারো শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বরিশালের মহাসড়ক ও নগরীর রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে আছে সেনাবাহিনী। মহাসড়কে চেকপোস্টে কড়াকড়ি চলছে।
এদিকে বিভিন্নস্থান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস বাবুগঞ্জের নতুন হাট এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সকালে পুলিশের চেকপোস্টে আটকে দেয়া হয়। পরে সেগুলোকে আবার ফেরত পাঠানো হয়।
সকালে থেকে নগরীতে সীমিত সংখ্যক রিকশা, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার এবং ব্যক্তিগত যান চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকালের দিকে নগরীর কাঁচাবাজারে কিছুটা ভিড় হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল ১০টার পর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি ও সপ্তাহিক বন্ধের কারণে দুপুরের দিকে রাস্তাঘাট নেকটাই ফাঁকা ছিল। তবে পাড়া-মহল্লায় কিছু চায়ের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীতে পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দোকান খোলা রাখা, অপ্রয়োজনে বের হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা কারণে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, যানবাহন নিয়ন্ত্রণে উপজেলার নতুনহাট এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান-তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জরুরি পরিবহন ছাড়া কোনো যানবাহন বরিশাল নগরীতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোনো যানবাহনকে রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা কঠোর অবস্থানে থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছি।